ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ৯ কোটি টাকার সরকারি জমি জবর দখলে নিয়ে বহুতল মার্কেট নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

প্রায় ৯ কোটি টাকার সরকারি জমি জবর-দখলে নিয়ে ব্যক্তির নামে বানিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাতামুহুরী ব্রীজের নিকটে চলছে ওই মার্কেট নির্মাণের কর্মযজ্ঞ।

জানা গেছে, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চকরিয়া মাতামুহুরী ব্রিজের উপর ২টি ব্রীজ নির্মাণের জন্য মাতামুহুরী ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে চিরিংগা মৌজায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার জমি অধি গ্রহণ করা হয় এবং স্থানীয় জমজম হাসপাতালের রাস্তার মাথায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিএস ৩৩নং খতিয়ানে ৭৩৬ দাগের ১৫ শতক জমি এবং ৭৫৪ দাগে আট শতক জমি অধিকগ্রহণ করে।
যার এল.এ মামলা নং ১০/১৭-১৮। ওই ২৩ শতক জমি ও অবকাঠামো বাবদ প্রায় ৯ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। ব্রীজের নির্মাণ কাজের শুরুতেই কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ৭৩৬ ও ৭৫৪ দাগের ২৩ শতক জমির সকল অবকাঠামো ও দোকান অপসারণ করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় দুবাই এহছান ও ডা: সোলতান আহমদ সিরাজী ৭৩৬ ও ৭৫৪ দাগের ২৩ শতক জমিতে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুনরায় বহুতল মার্কেট নির্মাণ শুরু করেছেন। স্থানীয় শফিউল্লাহ চৌধুরী ও গোলাম কবির ১৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবরে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ বন্ধের আবেদন করেছ।

অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরও ওই জবর-দখলবাজরা প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিবা/রাত্রি নির্মান কাজ করছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, ওই জমিটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া অফিসের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন জমজম হাসপাতালের রাস্তার মাথায়। অন্যদিকে ওই জমি নিয়ে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে অপর ৩৪০/১৪, অপর ১৬১/১৯, অপর ১৬৫/১৯, অপর ৩৮৭/১৯, অপর ১২১/১৯ মামলাসহ ১১টি মামলা চলমান রয়েছে।
অপর ৩৪০/১৪ মামলায় জবরদখলকারিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টের রিট মামলা নং ৮৮৭৮/১৯ এর মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান আছে। আদালতের সকল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি অধিগ্রহণকৃত জায়গায় রাতারাতি মার্কেট নির্মাণ করছে জবরদখলকারিরা। এব্যাপারে প্রকৃত জমির মালিকগণ জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

পাঠকের মতামত: